ভয়েস এশিয়ান, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১।। ভোজ্যতেলের দাম নির্ধারণ ভোক্তাদের জন্য নয়, ব্যবসায়ীদের স্বার্থ দেখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ক্রেতারা। কেননা, সরকার নির্ধারণ মূল্যের চেয়ে কম দামে মিলছে সয়াবিন তেল। তবে, বাণিজ্যমন্ত্রীর দাবি বলেন, বিশ্ব বাজারের বাড়তি দামের কারণেই দেশে বিক্রির সর্বোচ্চ মূল্য বেঁধে দেয়া হয়েছে।
ভোজ্যতেলের উর্ধ্বমুখী দামে লাগাম টানতে এক সপ্তাহ আগে দাম ঠিক করে দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সে অনুযায়ী খুচরা বাজারে খোলা সয়াবিন ১১৫ টাকা লিটার আর বোতলজাত তেলের দাম ঠিক হয় ১৩৫ টাকা। এছাড়া পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিনের খুচরা বিক্রয় মূল্য ৬৩০ টাকা নির্ধারণ হয়।
রাজধানীর খুচরা বাজারে মানভেদে বোতলজাত সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১২৫ টাকায়। আর ৫ লিটারের বোতল কেনা যাচ্ছে ৫৯০ থেকে ৬১০ টাকায়। যা সরকারের বেঁধে দেয়া দামের চেয়ে কম। তাই দাম নির্ধারণ ব্যবসায়ীদের বাড়তি মুনাফার সুযোগ বলে ক্ষোভ জানিয়েছেন ক্রেতারা।
সজল নামে এক ক্রেতা জানান, বাজারে সরকার নির্ধারণ দামের চেয়ে কম দামে মিলছে ভোজ্যতেল। এতে থেকে বুঝা যায়, ব্যবসায়ীদের স্বার্থেই দাম ঠিক করেছে সরকার, ক্রেতাদের দিকটি বিবেচনা করা হয়নি।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানান, তেলের আন্তর্জাতিক বাজারদরের সঙ্গে সমন্বয় করেই দাম ঠিক করা হয়েছে। আমদানি মূল্য কমলে দাম আবারো মূল্যায়ণ করা হবে।
দেশে বছরে সয়াবিন ও পাম মিলিয়ে ভোজ্যতেলের চাহিদা প্রায় ২০ লাখ টন। যার প্রায় পুরোটাই আমদানি করে দেশের হাতেগোনা কয়েকটি প্রতিষ্ঠান।