লাতিন আমেরিকা অঞ্চলে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দ্বিতীয় পর্ব। রাউন্ডের সাথে আর্জেন্টিনার চ্যালেঞ্জও বাড়ছে নানা সমীকরণে। বাছাই পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ব্রাজিলের কাছে ৫-০ ব্যবধানে বিধ্বস্ত হওয়া বলিভিয়ার বিপক্ষে নামবে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। অ্যাওয়ে ম্যাচ, লা পাজের উচ্চতা, আর ভেন্যু স্তাদ হার্নান্দোতে আলবেসেলেস্তেদের অতীত...মাস্টার মাইন্ড লিওনেল স্কালোনির ভাবনার বড় অংশ জুড়ে।
ম্যাচ ফিট না থাকায় আর্জেন্টিনা স্কোয়াডের বাইরে পাওলো দিবালা। দায়িত্ব আর পারফর্মেন্সের চাপ যথারীতি মেগাস্টার লিওনেল মেসির ওপর। তার পেনাল্টি গোলেই ইকুয়েডরকে হারিয়ে বাছাইপর্ব শুরু করে আলবিসেলেস্তেরা। তবে দুদলের সবশেষ দেখায় লা পাজ অভিজ্ঞতা তিক্ত সফরকারিদের। ২০১৭-র বিশ্বকাপ বাছাই ম্যাচে ২-০ তে হেরেছিল আর্জেন্টিনা, আর ২০০৯-এ হার্নান্দো সিলেসে স্বাগতিকদের আছে ৬-১ ব্যবধানে ঐতিহাসিক জয়ের অভিজ্ঞতা। অবশ্য আর্জেন্টিনা-বলিভিয়া হেড টু হেডে এগিয়ে দুবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। ৩৭ বার মুখোমুখি হয়েছে দুদল , ২৫ ম্যাচে জিতেছে আর্জেন্টিনা ৭টায় বলিভিয়া। সবশেষ ১০ ম্যাচে স্কালোনির দলের ৪জয়ের বিপরীতে ২টায় জয় বলিভিয়ার।
জয়ে আসর শুরু করলেও আর্জেন্টিনার পারফরমেন্স ছিল সাদামাটা। বিপরীতে বলিভিয়া বিবর্ণ শেষ ১৪ ম্যাচে যাদের জয় মাত্র একটা তাও হাইতির বিপক্ষে।
নামবে ব্রাজিল অ্যাওয়ে ম্যাচে প্রতিপক্ষ পেরু। সেলেসাওরা বাছাই পর্ব শুরু করেছে বলিভিয়াকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে। তবে ম্যাচের আগে দুদলের আছে ভাবনা আর প্রেরণার বিপরীত উপাদানও। গেলো বছরের সেপ্টেম্বরে সবশেষ দেখায় ব্রাজিলকে হারিয়েছিল পেরুভিয়ানরা। তবে একই বছর আরো দুবার দেখা হয় দুদলের। কোপা আমেরিকার ফাইনালে পেরুকে হারিয়েই শ্রেষ্ঠত্ব সেলেসাওদের।
সবমিলে ৪৭ বার মুখোমুখি হয়েছে৩৩টায় জয় ৫বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। বলিভিয়ার বিপক্ষে খেলা দাভিদ লুইজের পরিবর্তে দেখা যেতে পারে ফাবিনহোকে। আলোর বড় অংশ জুড়ে যথারীতি নেইমার। তবে সবশেষ ম্যাচে জোড়া গোল করা ফিরমিনোর দায়িত্ব বাড়ছে।