ভয়েস এশিয়ান, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩।। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে সবার চলাচলের সুযোগ নিশ্চিত করতে এই দ্রুতগতির উড়ালসড়কে বাস চলাচল শুরু করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি)।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় প্রাথমিকভাবে আটটি দ্বিতল বাস দিয়ে শুরু হলো এ কার্যক্রম। সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব আমিন উল্লা নুরী এর উদ্বোধন করেন। এ সময় বিআরটিসি চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব আমিন উল্লা নুরী বলেন, ‘এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে চললেও যাত্রীদের কাছ থেকে বিআরটিএর নির্ধারিত ভাড়াই নেওয়া হবে। আপাতত টোলের টাকা ভাড়ার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে না।’
তিনি জানান, ফার্মগেট প্রান্তের খেজুরবাগান থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটারের ভাড়া ৩৫ টাকা। উত্তরার জসীমউদ্দীন এভিনিউ পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটারের ভাড়া ৪০ টাকা। অর্থাৎ কিলোমিটারপ্রতি ভাড়া ২ টাকা ৪৫ পয়সা। ই-টিকেটিং ব্যবস্থার কারণে বেশি ভাড়া নেওয়ার সুযোগও থাকছে না।
সচিব আমিন উল্লা নুরী বলেন, ‘এটি উদ্বোধনের ফলে বিআরটিসি বাস ব্যবহারকারী যাত্রীরা এখন ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। টোলের টাকা বিআরটিসি কর্তৃপক্ষ পরিশোধ করলেও এর জন্য ভাড়ার অতিরিক্ত কোনো টাকা যাত্রীদের গুনতে হবে না। রুট অনুযায়ী সাধারণ ভাড়া পরিশোধ করলেই হবে।’
৩ সেপ্টেম্বর যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয় ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। ওইদিন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, ৭৯টি বাস চলবে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে। তবে নানা জটিলতায় এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে সরকারের এ সংস্থাটি।
বিআরটিসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এক্সপ্রেসওয়েতে প্রতিটি বাসকে ১৬০ টাকা টোল দিতে হলেও খেজুরবাগান থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটারের ভাড়া ৩৫ টাকাই থাকছে। আর জসীমউদ্দীন পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটার রুটের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০ টাকা। কিলোমিটারপ্রতি ভাড়া ২ টাকা ৪৫ পয়সা দাঁড়াচ্ছে। ই-টিকেটিং ব্যবস্থা থাকায় বেশি ভাড়া নেওয়ার সুযোগও হবে না। আর এ বাসগুলো প্রতি ১৫ মিনিট পরপর ছেড়ে যাবে।
অনুভূতি জানতে কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে কথা হয় প্রতিদিনের বাংলাদেশের এই প্রতিবেদকের। মনিপুরিপাড়ার বাসিন্দা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘পকেটে টাকা ছিল না। পরে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠার জন্য বিকাশে বন্ধুর কাছ থেকে টাকা এনেছি। আমি প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই। আমাদের জন্য এটা একটা বড় অর্জন। এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দেখার জন্য বাসে উঠেছি। আগে তো সবার জন্য সুযোগ ছিল না। এ বাস সার্ভিস চালু হওয়ায় এখন সবাই এক্সপ্রেসওয়েতে উঠতে পারবে।’
আরেক যাত্রী শাহিন আলম বলেন, ‘আজকে প্রথম এক্সপ্রেসওয়েতে উঠতে পেরে আমি অনেক আনন্দিত। বিআরটিসি বাসের এ সার্ভিস সত্যি দারুণ! এখন ফার্মগেট থেকে উত্তরা পর্যন্ত আমরা দ্রুত চলে যেত পারব।’
যাত্রী মোজাফফর হোসেন বলেন, ‘আমি শুধু দেখার জন্য যাচ্ছি। বাড়ি থেকে অন্য কাজে বের হয়েছিলাম। কিন্তু এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দেখার সুযোগ হারাতে চাইনি। সেজন্য বাসে চড়লাম।’