ভয়েস এশিয়ান, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩।। দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এক দিনে আরও ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি মাসের প্রথম ১৭ দিনে ডেঙ্গুতে ২২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়েছে ৪৩ হাজার ৮৭৬ জন। এ নিয়ে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮২২ জনে।
এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে আরও ৩ হাজার ১২২ জন।
রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এ সময়ের মধ্যে ঢাকায় ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে ৮৪৯ জনের। ঢাকার বাইরে শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ২৭৩ জনের। আর গত ২৪ ঘণ্টায় ছাড়প্রাপ্ত রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ৯৯৭ জন। এর মধ্যে ঢাকার ৯৭৯ জন এবং ঢাকার বাইরে ২ হাজার ১৮ জন।
নতুন শনাক্তসহ চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৬৭ হাজার ৬৮৪ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ৭৩ হাজার ২৩৩ জন এবং ঢাকার বাইরে ৯৪ হাজার ৪৫১ জন। এখন পর্যন্ত ছাড়প্রাপ্ত রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ৫৬ হাজার ৪২৫ জন। আর হাসপাতালে ভর্তি আছে ১০ হাজার ৪৩৭ জন।
আগস্ট মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৭১ হাজার ৯৭৬ জন। এ সময় ডেঙ্গুতে ৩৪২ জনের মৃত্যু হয়। আর জুলাই মাসে আক্রান্ত হয় ৪৩ হাজার ৮৫৪ জন। এ মাসে ২০৪ জনের মৃত্যু হয়।
সব হাসপাতালে র্যাপিড রেসপন্স টিম তৈরির নির্দেশ
ডেঙ্গুতে মৃত্যু ও আক্রান্তের সব রেকর্ড ভেঙে গেছে। রবিবারের সর্বশেষ তথ্য অুনযায়ী, দেশে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮২২ জনে। এ অবস্থায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দেশের প্রতিটি হাসপাতালে র্যাপিড রেসপন্স টিম তৈরির নির্দেশনা দিয়েছে।
রবিবার অধিদপ্তরের ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির এ নির্দেশনার কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘আমরা আজ সব সিভিল সার্জনকে নির্দেশনা দিয়েছি, প্রতিটি হাসপাতালে যেন র্যাপিড রেসপন্স টিম তৈরি করা হয়। এই টিম যারা অপেক্ষাকৃত খারাপ অবস্থার রোগী, তাদের প্রতিনিয়ত মনিটরিং করবে। রোগীর অবস্থা যাতে আরও খারাপ না হয় এবং এ রকম কোনো রোগীকে ঢাকার দিকে যেন পাঠানো না হয়, তা দেখভাল করবে।’
এ সময় দেশে অসাধু উপায়ে স্যালাইন এবং বিভিন্ন প্রয়োজনীয় ওষুধের কৃত্রিম সংকট তৈরি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির আরও জানান, সোমবার থেকে সারা দেশের হাসপাতালে আবারও অভিযান পরিচালনা করবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সিভিল সার্জনদের একটি সমন্বয় টিম করতে বলা হয়েছে। সিভিল সার্জন, ভোক্তা অধিকার ও লোকাল ম্যাজিস্ট্রেটের সমন্বয়ে একটি অভিযান পরিচালনার জন্য বলা হয়েছে। যেসব ফার্মেসি কিংবা ক্লিনিক স্যালাইন মজুদ করেছে, সেগুলোকে চিহ্নিত করে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেবে। এ ছাড়া অবৈধ ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও অনুপযুক্ত আইসিইউ যাদের আছে, তাদের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে আবার অভিযান চালিয়ে বন্ধ করে দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।