ভয়েস এশিয়ান, ২৪ মে, ২০২৩।। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সকালে শুরু হতে যাচ্ছে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। এরই মধ্যে ভোটের আমেজ শুরু হয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে। প্রচার-প্রচারণা বন্ধ থাকলেও পাড়া মহল্লায় চায়ের দোকানে আড্ডা বেড়েছে। তবে যে কোনো অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে প্রতিটি কেন্দ্রে কেন্দ্রে টহল দিচ্ছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা।
বুধবার (২৪ মে) বিকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, বিজিবির টহল দল টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, টঙ্গীর সিরাজ উদ্দিন সরকার বিদ্যানিকেতন স্কুল এন্ড কলেজ, গাছা, বোর্ডবাজার, মীরের বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে টহল দিতে দেখা গেছে। এছাড়াও প্রায় পাঁচ হাজার পুলিশ সদস্য ও সাড়ে ৪শ র্যাব সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
বুধবার সকালে শহরের শহীদ বরকত স্টেডিয়ামে নির্বাচনে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোল্লা নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ব্রিফিংয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনে যেসব কেন্দ্র অতি গুরুত্বপূর্ণ সেসব কেন্দ্রে অধিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও আমরা একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ নির্বাচন উপহার দিতে পারবো।
এসময় ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু করতে সকলের সহযোগিতা চেয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, সবাই সম্মিলিতভাবে গাজীপুরে একটি মডেল নির্বাচন উপহার দিতে চাই। সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে সবাই। নির্বাচন উপলক্ষ্যে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা বলয়ের চাদরে ঢেঁকে দেওয়া হয়েছে পুরো নগরী। কেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করে দেওয়ার যেসব কথা প্রচলন রয়েছে সেসব বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ আমরা সবাই সজাগ দৃষ্টি রেখেছি। যদি এমন কিছু আমাদের নজরে পড়ে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। আইনের মধ্য থেকে যার যে সুযোগ সুবিধা পাওয়ার কথা সেগুলো আমরা নিশ্চিত করবো। গাজীপুরের সকল ভোটারদের আহবান জানাবো তারা যেন নির্বিঘ্নে, নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে আসেন এবং তার পছন্দের প্রার্থী ও প্রতিকে ভোট দিয়ে যান।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোল্লা নজরুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন উপলক্ষে প্রায় ১৪ হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। নির্বাচন যেন সুষ্ঠু ও সুন্দর হয় সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। আমরা গাজীপুরবাসীকে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করে দেখিয়ে দিতে চাই।
তিনি আরও বলেন, প্রিজাইডিং অফিসারের নেতৃত্বে ভোটকেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করবে। পাশাপাশি মোবাইল টিম, স্ট্রাইকিং ফোর্স, রিজার্ভ ফোর্স, র্যাব ও বিজিবি থাকবে। সবাই সম্মিলিতভাবে ভোটার ও ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা দিবে। সেক্ষেত্রে আইন-শৃঙ্খলার কোন ব্যাতয় ঘটলে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করলে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব। মোট ৪৮০টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৩৫১টি কেন্দ্র আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। সেই কেন্দ্রগুলোকে আমরা আলাদাভাবে নজরদারিতে রাখবো এবং সেখানে ফোর্স বাড়িয়ে দিব।
রিটানিং কর্মকর্তার অফিস সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনে মোট ৪৮০ টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩৫১ টি কেন্দ্র অতিগুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচনে ৫৭টি ওয়ার্ডে ৫৭ জন ম্যাজিস্ট্রেট এবং অতিরিক্ত ১৯ জনসহ সর্বমোট ৭৪ জন ম্যাজিস্ট্রেট এবং জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়াও র্যাবের ৩০টি টিম এবং ২০ প্লাটুন বিজিবিসহ সর্বমোট প্রায় ১৩ হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবেন।