ভয়েস এশিয়ান, ২৪ মে, ২০২৩।। এক বছরের ব্যবধানে বাজারে আদার দাম বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। খোলা বাজারে বর্তমানে প্রতিকেজি আদার দাম ছাড়িয়েছে ৩শ টাকারও বেশি। অন্তত দুই সপ্তাহ ধরে চলছে এ চড়া দাম।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলার সংকট ও চীন থেকে আমদানি বন্ধ হওয়ায় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে আদার বাজার। এখনই ব্যবস্থা না নিলে কোরবানির ঈদে দাম আরও বাড়ার শঙ্কা ভোক্তাদের।
রাজধানীর শ্যামবাজার, কারওয়ান বাজার সহ সব বাজারেই আদার পর্যাপ্ত জোগান আছে। পাওয়া যাচ্ছে সহযেই। কিন্তু কিনতে হচ্ছে রেকর্ড দামে।
শ্যামবাজারে প্রতি কেজি বিদেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায়। কারওয়ান বাজারে তা ৩০০ টাকা আর মহল্লার দোকানে প্রায় চারশ টাকা। টিসিবির হিসাবে, আদার এ দাম গত বছরের এই সময়ের চেয়ে অন্তত ২৫০ শতাংশ বেশি।
পাইকাররা বলছে, দেশে অর্ধেকের বেশি আদা আসে চীন থেকে। কিন্তু এখন চীন থেকে আমদানি বন্ধ রয়েছে। ফলে আনতে হচ্ছে মিয়ানমার, ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়া থেকে। তারা বলছে, আমদানি সংকট আর এলসি জটিলতা আদার বাজার অস্থির করে তুলেছে।
আমদানিকারকদের দাবি, দেশে আদার চাহিদা রয়েছে ৬ থেকে ১০ লাখ টন। যার বেশিরভাগই আমদানি করা হয়। তাই আদার দাম নিয়ন্ত্রণে আমদানি সহযোগিতা বাড়ানোর দাবি তাদের।
চট্টগ্রামের আদা আমদানিকারক ফারুক আহমেদ বলেন, ‘এনবিআরকে আরও আপডেট হতে হবে। তাদের যারা অফিসার আছে তাদের আরও ভালো ভাবে এটা হ্যান্ডেল করতে হবে যে বর্তমানে দাম কি, আর আমার এখানে কি দামে ব্যবসায়ীরা ইমপোর্ট করছে বা এলসিগুলো খুলছে।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, গত বছর দেশে আদার উৎপাদন হয়েছে মাত্র ১ লাখ ৯১ হাজার টন।