ভয়েস এশিয়ান, ২৪ মে, ২০২৩।। করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করার তিন বছর পেরিয়ে গেছে। সম্প্রতি এর কারণে জারি করা বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। কিন্তু এখনও বিশ্বে প্রতি চার মিনিটে একজন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রতিষেধক এনেছে একাধিক কোম্পানি। তবুও এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এখনও স্পষ্ট উপায় পায়নি বিশ্ব। এতে ভ্যাকসিন না পাওয়া মানুষজন বা কম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের ঝুঁকি আরও বাড়ছে।
প্রশ্ন উঠেছে, বিশ্বজুড়ে দুর্বল হলেও এর একাংশ মানুষের প্রাণ কেড়ে নেওয়া ভাইরাসটি কীভাবে প্রতিরোধ করা যায়? করোনায় মারা যাওয়া এই একাংশের বিষয়টি বুঝতে হলে তাকাতে হবে যুক্তরাষ্ট্রের দিকে। দেশটিতে গত বছর হৃদরোগ এবং ক্যান্সারের পরে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে করোনাভাইরাসে।
করোনায় এ পর্যন্ত ২ কোটির বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এত মৃত্যুর পরেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাধ্যতামূলক টিকা বা মাস্ক পরার ওপর জোর দিতে চাইছেন না সরকার ও রাজনীতিবিদরা। বৈশ্বিক মহামারির শুরুতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার বিপুল অর্থ ব্যয় করলেও বর্তমানে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা অনুসরণ করতে তারা অনিচ্ছুক। এছাড়া জনসাধারণেরও বিধিনিষেধ মানার আর ধৈর্য নেই।
এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরির ভেটেরেন্স অ্যাফেয়ার্স সেন্ট লুইস হেলথ কেয়ার সিস্টেমের ক্লিনিক্যাল এপিডেমিওলজি সেন্টারের পরিচালক জিয়াদ আল আলি বলেন, বিশ্ব চায় বৈশ্বিক মহামারিকে পেছনে ফেলে যেতে। কিন্তু আমরা বাস্তবতাকে উপেক্ষা করতে পারি না। এখনও করোনায় অনেক মানুষের মৃত্যু হচ্ছে।