ভয়েস এশিয়ান, ১৫ মে, ২০২৩।। ইংল্যান্ডের চেমসফোর্ডে তৃতীয় ওডিআইতে শেষ ওভারের রোমাঞ্চে আয়ারল্যান্ডকে পাঁচ রানে হারাল বাংলাদেশ। ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতল টাইগাররা। ২৭৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ২৬৯ করে আয়ারল্যান্ড। ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন মুস্তাফিজ। আর শেষ ওভারের নায়ক হাসান মাহমুদ।
চেমসফোর্ডের ছোট গ্রাউন্ডে ২৭৫ রানের টার্গেট কঠিন নয়। আগের ম্যাচে ৪৫ ওভারেই ৩০০ করা আয়ারল্যান্ড এই ম্যাচ সহজ করেছিল ঠিকই, হারের শঙ্কায় থেকে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন মুস্তাফিজ।
প্রয়োজন তখন ৪৯ রান। বল আর রানের ব্যবধান প্রায় সমান। আইরিশদের হাতে তখনও ছয় উইকেট। সেখান থেকে ১৬ রানে তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচ বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণে এনে দেন ফিজ। টাকার, ডকরেল, ক্যাম্ফার আইরিশদের স্বীকৃত শেষ তিন ব্যাটারকেই ফেরান কাটার মাস্টার। একাদশে মুস্তাফিজের জায়গা যখন নড়বড়ে, সে অবস্থায় কি দুর্দান্ত কামব্যাক!
আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান হ্যারি টেক্টরকে ফিরিয়ে ক্যাপ্টেনের আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন শান্ত। এর আগে আইরিশ টপ অর্ডার ছড়ি ঘুরিয়েছে। ওপেনার ডোহেনি মুস্তাফিজের বলে মাত্র চার রানে ফিরলেও, বালবার্নি আর স্টার্লিং ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখেন। এ দুজনের ফিফটিতে এক সময় আয়ারল্যান্ডের জয় সহজ মনে হচ্ছিল। তবে টাইগার বোলারদের নৈপুণ্যে হোম সিরিজও খোয়াতে হলো আইরিশদের।
এর আগে, টস হেরে ব্যাটিংয়ের শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ওয়ানডে অভিষেক রাঙাতে পারেননি রনি তালুকদার। ১৪ বলে চার রান করে ফেরেন এই ওপেনার।
আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান নাজমুল শান্ত আউট হন ৩৫ রানে। একই অঙ্কে ফেরেন লিটন দাসও। ছন্দে থাকা তৌহিদ হৃদয়ের ব্যাটে আসে মাত্র ১৩ রান।
তবে জস লিটলের বলে জীবন পেয়ে, ফিফটি তুলে নেন তামিম ইকবাল। নয় ম্যাচ পর ফিফটি পাওয়া তামিম আউট হন ৬৯ করে।
শেষদিকে মুশফিক-মিরাজের ৭৫ রানের জুটিতে, লড়াকু সংগ্রহ গড়ে বাংলাদেশ। মুশফিক ৪৫ আর মিরাজ করেন ৩৭ রান। টেল এন্ডাররা ভালো করলে, সংগ্রহ বড় হতে পারতো। মাত্র ১৩ রানে শেষ পাঁচ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।