ভয়েস এশিয়ান, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩।। একুশ এখন শোক নয়, একুশ এখন শক্তি। একুশের পথ ধরেই এসেছে দেশে স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐকান্তিক নেতৃত্বে ১৯৫২ থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। বাংলা প্রেসক্লাব মালয়েশিয়ার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের আলোচনা সভায় বক্তারা এ সব কথা বলেন।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানী কুয়ালালামপুরের ইম্পিয়ানা কেএলসিসি হোটেলে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষে বাংলা প্রেসক্লাব মালয়েশিয়া আলোচনা সভা ও গুণী প্রবাসীদের একুশের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। একইসঙ্গে বাংলা প্রেসক্লাব মালয়েশিয়ার প্রকাশনা প্রবাস ম্যাগাজিনের মাতৃভাষা সংখ্যার মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
ইয়ুথ হাবের সভাপতি পাভেল সারওয়ারের সঞ্চালনায়, পবিত্র কোরআন তেলয়াত, ভাষা শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া এবং বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনার মাধ্যমে আলোচনা সভার মূল কার্যক্রম শুরু হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ হাইকমিশন মালয়েশিয়ার প্রথম সচিব (শ্রম) এ এস এম জাহিদুর রহমান। তিনি মালয়েশিয়া প্রবাসীদের বলেন, ‘বিশ্বের মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশিরা মাতৃভাষার জন্য জীবন দিয়েছে সেই হিসেবে আমরা বাঙালি হিসেব গর্বিত জাতি। প্রবাসীদের জন্য রেমিটেন্সে ৫ শতাংশ প্রণোদনা দেবার ব্যাপারে সরকারের কাছে লিখিত সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ হাই কমিশন। শিক্ষা গবেষণায় যদি হাইকমিশন থেকে কোনো সহয়ায়তার প্রয়োজন হলে হাইকমিশন সর্বদা পাশে আছে।
আলোচনা সভায় আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন, সানওয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ছাইদুর রহমান, ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়ার অধ্যাপক ড. আহসানুল হক, ইউনিভার্সিটি তেনেগা ন্যাশনাল মালয়েশিয়ার অধ্যাপক এম এ হান্নান, ডাচ-বাংলা চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক লায়ন হারুন ওর রশিদ, ইউনিভার্সিটি কেলান্তান মালয়েশিয়ার সিনিয়র লেকচারার ড. লায়লা নাহার, মালয়েশিয়া কমিউনিটি নেতা মো. রাশেদ বাদল, ইয়ুথ হাবের সাধারন সম্পাদক সুমাইয়া জাফরন চৌধুরী, গবেষক চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) এর সহকারী অধ্যাপক ও ইউনিভার্সিটি উতারার গবেষক হোমায়ূন কবির, সাংবাদিক প্রতিনিধি, বাংলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বশির আহমদ ফারুক, ওহেদুল ইসলাম সোহান ও মোহাম্মদ আলী।
আলোচনা সভায় মালয়েশিয়ার ভাষা ও সাহিত্য ইনস্টিটিউটের প্রতিনিধি হিসেবে সিতি নুরসুহাইলা বিনতি সামসুদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, মাহাশা ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. নাজমুল হাসান মাজিজ, ইউনিসেল ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়ার সহযোগি অধ্যাপক ড. আবুল বাশার, অগ্রণী রেমিটেন্স হাউসের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ও ডিরেক্টর সুলতান আহমদ, ম্যনেজার ফাইন্যান্স মো. মুস্তাফিজুর রহমান, রেড লাইভের সম্পাদক তাহমিনা বারি রিনি, ফারজানা সুলতানা, সাংবাদিক ইমরান হোসাইন, মামা সাংস্কৃতিক শিল্পগোষ্ঠীর প্রতিষ্টাতা এমদাদুল হক সবুজ, জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ সভাপতি সুনাহর খানঁ রশিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আমজাদ খানঁসহ কেপিজে মালয়েশিয়ার প্রতিনিধি ও বিএসইউএমএর নেতারা।
মালয়েশিয়ায় যে সকল প্রবাসী বাংলাদেশি বিভিন্ন ক্ষেত্রে আবদান রেখেছেন, বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বৃদ্ধি করছেন সেই কৃতি সন্তানদের বাংলা প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
সম্মাননা পেলেন যারা- বিশিষ্ট ব্যাবসায়ি কমিউনিটি নেতা দাতুশ্রী কামারুজ্জামান কামাল, ব্যবসায়ী ও সমাজসেবী মিন্টু মাহফুজ ও মো: কাউসার হোসাইন, শিক্ষার্থী বৃষ্টি খাতুন, মিশায়ার রায়হান চৌধুরী, মোহাম্মাদ ফয়জাল ও ফাইরিজ। ইংল্যান্ডের কেন্ট কাউন্টি ক্লাবের বোলিং কোচ ক্রিকেটার শেখ জাহিদ আহমেদ। নারী উন্নয়নের আবদান রাখায় সুমাইয়া জাফরিন চৌধুরী এবং শিক্ষা ও গবেষণায় আবদান রাখায় ড. লায়লা নাহার, ড. আহসানুল হক, ড, ছাইদুর রহমান, ড. এম এ হান্নান ও ড. তারিকুল ইসলামকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।