ভয়েস এশিয়ান, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩।। দুই ঘণ্টার বেশি সময় পর গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক স্বাভাবিক হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে গ্রামীণফোনের ফেসবুক পেজে সমস্যার সমাধান হওয়ার কথা জানানো হয়।
এতে বলা হয়, আমাদের বিশেষজ্ঞদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টায় ফাইবার অপটিক কেবলজনিত সমস্যা আমরা সমাধান করতে পেরেছি। সকল সেবা এখন স্বাভাবিক আছে।
এদিকে নেটওয়ার্ক বিভ্রাটের কারণে বিপুল সংখ্যক গ্রাহক ভোগান্তিতে পড়ায় গ্রামীণফোনের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে টেলিযোগাযোগ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে টেলিযোগাযোগ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির তরফ থেকে ব্যাখ্যা চেয়ে একটি জরুরি চিঠি পাঠানো হয় গ্রামীণফোনের সিইওকে।
বিটিআরসির পরিচলক (ইঞ্জিনিয়ারিং এ্যান্ড অপারেশন্স বিভাগ) মো. গোলাম রাজ্জাক স্বক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়, গ্রাহক কর্তৃক প্রচুর পরিমাণে প্রাপ্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানা যায় যে দেশব্যাপী মোবাইলফোন অপারেটর গ্রামীণফোনের মোবাইল নেটওয়ার্ক প্রাপ্তিতে বিঘ্নতার সৃষ্টি হচ্ছে। দেশের শীর্ষ মোবাইল অপারেটর হিসেবে গ্রামীণফোনের গ্রাহক সংখ্যা বিবেচনায় গ্রাহকসমূহ মোবাইল নেটওয়ার্ক প্রাপ্তিতে বাধাগ্রস্ত হওয়ায় সকল শ্রেণির গ্রাহকগণ চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
এমতাবস্থায় জাতীয় জরুরি অবস্থা বিবেচনায় গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক বিপর্যয়ের সঠিক কারণ ব্যাখ্যাসহ অতি দ্রুত জরুরি ভিত্তিতে দেশব্যাপী গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক নিশ্চিতকরণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হল।
এর আগে, বেলা পৌনে ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টার বেশি সময় নেটওয়ার্ক বিভ্রাটে ছিল দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন। এই বিভ্রাটে সাময়িকভাবে কল করতে অসুবিধা হয়েছে বিপুল সংখ্যক গ্রাহকের।
বিভ্রাটের এই সময়টায় ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার গ্রামীণফোন ব্যবহারকারীরা মোবাইলে নেটওয়ার্ক পাচ্ছিলেন না। ফলে কথা বলার পাশাপাশি ইন্টারনেট সেবাও পাওয়া যাচ্ছিল না।
যদিও গ্রামীণফোনের ফেইসবুক পেইজে সে সময় এক বিবৃতিতে বলা হয়, ফাইবার অপটিক কেবল বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে সাময়িকভাবে অসুবিধায় পড়েছেন গ্রাহকরা, সেজন্য গ্রামীণফোন ‘আন্তরিকভাবে দুঃখিত’।
বিটিআরসির তথ্য অনুযায়ী, দেশে মোট মোবাইল সিমের মধ্যে ৭ কোটি ৯৩ লাখই গ্রামীণফোন। অর্থাৎ দেশের মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের ৪২ শতাংশই গ্রামীণফোন ব্যবহার করেন। নেটওয়ার্ক না থাকায় এসব ব্যবহারকারীর একটি বড় অংশ ভোগান্তিতে পড়েন।