ভয়েস এশিয়ান, ০৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩।। মালয়েশিয়ায় গত ২৭ জানুয়ারি থেকে 'লেবার রিক্যালিব্রেশন প্রোগ্রাম' কর্মসূচির আওতায় শুরু হয়েছে অবৈধ অভিবাসী শ্রমিকদের বৈধ হওয়ার সুযোগ। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৫ দিনে ৫০ হাজার আবেদন জমা পড়েছে দেশটির অভিবাসন বিভাগে।
বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) এক অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানিয়েছেন দেশটির অভিবাসন মহাপরিচালক খায়রুল জাইমি দাউদ।
তিনি রিক্যালিব্রেশন প্রোগ্রামের ২.০ (আরটিকে ২.০) প্রক্রিয়াকে প্রত্যাশার বাইরে বলে বর্ণনা করেছেন এবং অনথিভুক্ত কর্মীদের নিবন্ধন প্রক্রিয়া অতীতের তুলনায় এবারের উদ্যোগের সফলতা দেখছেন।
এই প্রোগ্রাম সেসব বিদেশি কর্মীর জন্য যারা ইতোমধ্যে এখানে কাজ করছেন, কিন্তু সঠিক কাগজপত্র নেই। তারা এখন পেমেন্ট করে এই সুবিধা নিয়ে বৈধভাবে কাজ করতে পারবেন অথবা দেশে ফিরতে পারবেন।
কালো তালিকাভুক্ত অর্থাৎ যার বিরুদ্ধে ইমিগ্রেশনে অভিযোগ আছে এমন শ্রমিক ও ক্রিমিনাল রেকর্ড আছে এমন অভিবাসী ছাড়া যে কেউ এই লেবার রিক্যালিব্রেশন প্রোগ্রামে আবেদন করতে পারবেন।
অনুমোদন প্রক্রিয়া শেষ হতে মাত্র একদিন সময় লাগবে। একবার সম্পূর্ণ হলে নিয়োগকর্তারা তাদের বিদেশি কর্মীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ফরেন ওয়ার্কার্স মেডিক্যাল এক্সামিনেশন মনিটরিং এজেন্সির (ফমিমা) মাধ্যমে নিতে হবে যাতে তারা সুস্থ এবং তাদের নিজ নিজ সেক্টরে কাজ করতে সক্ষম হয়।
পরবর্তী প্রক্রিয়াটি হবে পুনর্নির্মাণ ফি, ভিসা, অস্থায়ী কাজের ভিজিট পাস (পিএলকেস), প্রক্রিয়াকরণ ফি এবং শুল্ক প্রদান। যখন সমস্ত নথি সম্পূর্ণ হয়, নিয়োগকর্তারা পিএলকেস মুদ্রণ করতে পারবেন।
এই প্রোগ্রামে সর্বনিম্ন ফি ধরা হয়েছে ১ হাজার ৫০০ রিঙ্গিত যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩৮ হাজার টাকা। এর সঙ্গে মেডিকেল ও অন্যান্য ফি মিলিয়ে মোট খরচ হয় ৩ হাজার রিঙ্গিতের ওপর।
২৭ জানুয়ারি শুরু হওয়া 'লেবার রিক্যালিব্রেশন প্রোগ্রাম' চলবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ইমিগ্রেশন বিভাগ বলছে, গত বছরের মতো এবারও তারা কোনো ব্যক্তি বা সংস্থাকে এজেন্ট বা মধ্যস্থতাকারী হিসেবে নিয়োগ করেনি। সরাসরি নিয়োগদাতাকে ইমিগ্রেশনে আবেদন করতে হবে।