ভয়েস এশিয়ান, ০১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩।। নীরব ধর্মঘটের মধ্যদিয়ে সামরিক অভ্যুত্থানের দুই বছর পালন করছে মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থীরা। সেনা শাসনের বিরুদ্ধে নিজের অবস্থান তুলে ধরতে জনগণকে ব্যবসা বন্ধ রাখার আহ্বান জানিয়েছে তারা। এদিকে, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর আরও কয়েকজন সদস্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্র দেশগুলো। প্রথমবারের মতো দেশটির জ্বালানি খাতের ওপরও আরোপ হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।
২০২১ সালের পয়লা ফেব্রুয়ারি নির্বাচিত সরকারকে হঠিয়ে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। বন্দি করা হয় অং সান সু চিসহ শীর্ষ নেতাদের। এরই মধ্যে জান্তার বিরুদ্ধে উস্কানি ও করোনা বিধিনিষেধ ভঙ্গসহ একাধিক মামলায় ২৬ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন সু চি।
অভ্যুত্থানের পর থেকেই শুরু হয় সেনাবিরোধী সশস্ত্র বিক্ষোভ। বিস্তীর্ণ এলাকায় গড়ে ওঠা সশস্ত্র বিদ্রোহ রোধে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর বোমা-গোলাবর্ষণের মতো যুদ্ধাপরাধের অভিযোগও উঠেছে।
জাতিসংঘের হিসাবে, জান্তাবিরোধী লড়াইয়ে এ পর্যন্ত প্রায় ৩ হাজার মানুষ মারা গেছে। আটক ১৩ হাজারের বেশি। বাস্তুচ্যুত হয়েছে ১৫ লাখ মানুষ। আর, মানবিক সহায়তার দরকার কমপক্ষে ৫০ লাখ শিশুর।
এদিকে, অভ্যুত্থানের দুই বছরর পর নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে জান্তা সরকার। অবশ্য বিশ্লেষকদের শঙ্কা, সশস্ত্র বিদ্রোহের মুখে নির্বাচন হলে রক্তপাত আরও বাড়তে পারে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সেনাবাহিনীর পরিকল্পিত নির্বাচন নিরপেক্ষ ও অবাধ হবে না। এরই মধ্যে নতুন আইন করে, সন্ত্রাসী ও অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তি বা সংগঠনকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। জান্তা বিরোধীদের দাবি, সু চির দল এনএলডি-কে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতেই এই পদক্ষেপ।