ভয়েস এশিয়ান, ৩০ জানুয়ারী, ২০২৩।। ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে আজ সোমবার বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি পালন হবে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারসহ ১০ দফা দাবি আদায়ে যাত্রাবাড়ী থেকে শ্যামপুর পর্যন্ত এ পদযাত্রা হবে। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশ করবে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে। একই সঙ্গে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ প্রতিদিন কোনো না কোনো কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকারও ঘোষণা দিয়েছে।
জানা গেছে, বিএনপির যেকোনো কর্মসূচির নামে যাতে নাশকতা করে যানমালের কোনো ক্ষতি করতে না পারে, তার জন্য ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ মাঠে থাকবে। এ ছাড়া থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিটের নেতাকর্মীরাও সতর্ক অবস্থানে থাকবে। এরই অংশ হিসেবে আজ রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে দুপুর ৩টায় শান্তি সমাবেশ করবে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি থাকবেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ ছাড়া বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে আজ বেলা ১১টায় রাজধানীর পুরান ঢাকার ভিক্টোরিয়া পার্কে (জগন্নাথ বিশ^বিদ্যালয়ের সামনে) শান্তি সমাবেশ হবে। ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানার সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজার সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি থাকবেন যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
এদিকে মিছিল, সমাবেশ, বিক্ষোভের পর বিএনপি শব্দহীন পদযাত্রার তিন দিনের কর্মসূচি পালন করছে। বিএনপি মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে আজ সোমবার যাত্রাবাড়ী থেকে শ্যামপুর পর্যন্ত পদযাত্রা। এ পদযাত্রা কর্মসূচি শুরু হবে দুপুর ২টায়। এতে বিএনপির শীর্ষ নেতারা উপস্থিত থাকবেন।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী বলেন, বিএনপি-জামায়াত কর্মসূচির নামে যানমালের যাতে কোনো ক্ষতি করতে না পারে, তাই আমরা মাঠে থাকব। এটি কোনো পাল্টা কর্মসূচি নয়। আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তো বলেছেন, আমরা কোনো পাল্টা কর্মসূচি পালন করছি না। আগামী নির্বাচন পর্যন্ত কোনো না কোনো কর্মসূচিতে নেতাকর্মীরা মাঠে থাকবে।
বিএনপির একজন নেতা সময়ের আলোকে জানান, তারা মনে করছেন পদযাত্রার মতো কর্মসূচির মাধ্যমে জনগণের সম্পৃক্ততা বাড়ানো যাবে। এমন কর্মসূচি নগরবাসীর কোনো ব্যাঘাত সৃষ্টি করবে না। তারা এমন অহিংস কর্মসূচিতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করবে। নেতাকর্মীরাও এতে উৎসাহিত হবে। একটানা নয়াপল্টনকেন্দ্রিক সমাবেশ হওয়ার কারণে ঢাকার কয়েকটি এলাকার নেতাকর্মীদের মধ্যে কিছুটা ঢিলেঢালাভাব চলে আসছে। তাদের ফের রাজপথে চাঙ্গা করতেই এমন ভিন্ন উদ্যোগ। এটি সবার নজর কাড়বে। দাবি আরও বেগবান হবে। এ কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ কিংবা পুলিশ বাধার সৃষ্টি করলে তাদেরই ক্ষতি হবে। নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।