ভয়েস এশিয়ান, ২৪ জানুয়ারী, ২০২৩।। ঘন কুয়াশায় ফ্লাইট ওঠা-নামা সচল রাখতে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ দেশের চারটি বিমানবন্দর আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। এতে ৮শ মিটারের কম দৃশ্যমান জায়গাতেও ফ্লাইট চালানো সম্ভব হবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনে সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান জানান, ২০৩০ সালের মধ্যে এভিয়েশনের বৃহত্তম বাজার হবে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল।
প্রতি বছর শীতের মৌসুমে ডিসেম্বর থেকে ঘন কুয়াশা শুরু হলেই ফ্লাইট ওঠা-নামায় ব্যাঘাত ঘটে দেশের বিমানবন্দরগুলোতে। এ বছরও ঘন কুয়াশায় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বিমান সংস্থাগুলোকে। এতে বাধ্য হয়েই মধ্য আকাশে অপেক্ষা করতে হচ্ছে যাত্রীদের। আবার পাশ্ববর্তী দেশের বিমানবন্দরেও ফ্লাইট নামানো হয়েছে বেশ কয়েকবার।
কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের দেশের চেয়ারম্যান মফিদুর রহমান জানান, বিমানবন্দরগুলো বর্তমানে আইএলএস ক্যাটাগরি-১ এ থাকায় ৮শ মিটারের কম দৃশ্যমান স্থানে বিমান ওঠা-নামা করানো যাচ্ছে না। তাই বাংলাদেশ, ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ার ৮টি দেশের বিমানবন্দরের উন্নয়নে করণীয় ঠিক করতে ঢাকায় বসেছে কসক্যাপ এসএ-এর ৩০তম স্টিয়ারিং কমিটির সভা।
সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান জানান, ঘনকুয়াশায় দেশের বিমানবন্দরগুলোতে ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক রাখতে শিগগিরই ঢাকা, কক্সবাজার, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিমানবন্দরকে আইএলএস ক্যাটাগরি-২ এ উন্নীত করা হবে। এর মধ্যে সিলেট প্রায় প্রস্তুত। ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের কাজও শেষের দিকে।
এ সময় জানানো হয়, হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরে অতিরিক্ত কিছু লাইটিং এর প্রয়োজন আছে। যন্ত্রপাতি আমদানি হওয়ায় দ্রুত এ সমস্যা দূর করা সম্ভব হবে বলেও জানায় সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ।