ভয়েস এশিয়ান, ২০ জানুয়ারী, ২০২৩।। আফগানিস্তানে ভয়াবহ শৈত্যপ্রবাহে ৯ দিনে ৭৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আফগানিস্তানে গত ১৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শীত পড়েছে। আগামী কয়েকদিনে তাপমাত্রা আরও নামতে পারে বলে পূর্বাভাস রয়েছে। তুষারপাতে বেশ কয়েকটি প্রধান সড়ক বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে দূর্গতদের কাছে পৌঁছানো যাচ্ছে না সহায়তা।
আফগানিস্তানের জনসংখ্যার পুরোটাই দারিদ্রের শিকার। এরমধ্যে অর্ধেকেরই নেই একবেলা খাবারের যোগান। কয়েক দশকের যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশটির ওপর প্রকৃতিও যেন রুষ্ট। অর্থসংকটের সাথে যোগ দিয়েছে তীব্র শীত।

তালবান জানিয়েছে ৩৪ প্রদেশের ৮ টিতেই শীতের কারণে প্রাণহানি হয়েছে। পশ্চিমের ঘর প্রদেশে তাপমাত্রা নেমেছে মাইনাস ৩৪ ডিগ্রিতে।
হাসপাতালগুলোতে বেড়েই চলেছে শিশু রোগীর সংখ্যা। বিদেশি তহবিল বন্ধ থাকায় দেখা দিয়েছে প্রয়োজনীয় ওষুধের ঘাটতি। এমন পরিস্থিতিতে রোগীর ঢল সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতালগুলো।
চিকিৎসক ও ত্রাণকর্মীরা জানান, শীত ও অপুষ্টিজনিত কারণে হাজার হাজার শিশু হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। কেবল নভেম্বরেই নিউমোনিয়ার মত ঠাণ্ডাজনিত নানা রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬ হাজার ৭শ'র বেশি। যা ২০২১ সালের একই সময়ের তুলনায় দ্বিগুণ। জাতিসংঘের হিসেবে আফগানিস্তানে ১০ লাখেরও বেশি শিশু পুষ্টিহীনতায় ভুগছে।
তালেবান ক্ষমতায় আসার আগে থেকেই অর্থসঙ্কটে ছিল আফগানিস্তান। দেশটির ৭৫ শতাংশ খরচই আসতো বিদেশী ত্রাণ সহযোগিতা থেকে। তালেবানের ক্ষমতা দখলের পর সেই সাহায্য বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভোগান্তি পৌঁছেছে চরমে।
এদিকে, নারী কর্মী নিয়োগে তালেবান নিষেধাজ্ঞা দেয়ায় আফগানিস্তানে সব কার্যক্রম স্থগিত করে অন্তত ১৮০টি আন্তর্জাতিক সংস্থা। এতে এই শীতে নারী ও শিশুদের কাছে পর্যাপ্ত সহযোগিতা পৌঁছানো আরো কঠিন হয়ে পড়ে বলে জানায় দাতব্য সংস্থাগুলো।