ভয়েস এশিয়ান, ১৩ জানুয়ারী, ২০২৩।। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ যখন ফুল রপ্তানির মাধ্যমে তাদের রাজস্ব আয় করে ঠিক সে সময় উল্টো পথে হাঁটছে বাংলাদেশ। বিদেশ থেকে কাঁচা ও প্লাস্টিক ফুল আমদানি করছে অনেকে। যাতে নষ্ট করা হচ্ছে দেশের বাজার ও পরিবেশ।
হেমন্তের সকালে ভোরের কুয়াশা ভেদ করে উঁকি দেয় সূর্য। যার আলোর সঙ্গে মিতালি গোলাপ, গাঁদা, জারবেরা আর চন্দ্রমল্লিকার। মন জুড়ানো এ দৃশ্য সাভারের বিরুলিয়ার গোলাপ গ্রামের।
বাগানের ফুটন্ত ফুলের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। কেউ পরিষ্কার করছেন আগাছা, কেউ আবার ফুল সংগ্রহ করছেন বিক্রির উদ্দেশ্যে।
চাষিরা জানায়, এখন ফুলে দাম ভালো বলা যায়, তবে আশানুরূপ নয়। বিদেশে রপ্তানি করতে পারলে আমাদের আয় আরও বেশি হত।
চাহিদা বাড়ায় রাজধানীর পাইকারি বাজারগুলোও হয়ে উঠেছে সরগরম। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বেচাকেনা হচ্ছে বেশ ভালোই, তবে সেখানে প্রধান বাধা, বিদেশ থেকে আনা প্লাস্টিক ফুল।
বিক্রেতারা জানান, বাজারে আর্টিফেসিয়াল ফুলে ভরে গেছে। এতে আমাদের বেচা-বিক্রি কম। বিয়েসহ অন্যান্য অনুষ্ঠান এখন কৃত্রিম ফুল দিয়েই সাজানো হয়।
দেশে দিনদিন বাড়ছে ফুলের আবাদ। বর্তমানে যার চাষ হচ্ছে ৬ হাজার হেক্টর জমিতে। যদিও সেভাবে গড়ে উঠেনি বিপণন ব্যবস্থা। তাই খাতটির সম্প্রসারণে নীতিমালা চায় বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটি।
বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটি সভাপতি আবদুর রহিম জানান, ফুল প্যাকেজিং গ্রেডিং করার যে অবকাঠামো তা আমাদের দেশে তৈরি হয়নি। ফুল রপ্তানির ক্ষেত্রে আমাদের একটি নীতিমালা দরকার।
শুধু দেশেই নয়, দেশের বাইরেও ভালোই চাহিদা রয়েছে ফুলের। তবে প্রতিযোগিতার দৌড়ে এগিয়ে থাকতে হলে নজর দিতে হবে প্রক্রিয়াজাতকরণের ওপর।
ফুল বিজ্ঞানী ড. আ ফ ম জামাল উদ্দিন বলেন, আমাদের ফুলের জাতের ভেরিয়েশন আনতে হবে, তাহলেই আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারব।