ভয়েস এশিয়ান, ০৯ জুন, ২০২২।। শিক্ষায় বিনিয়োগ মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ছয় ভাগে যেতে হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। কিন্তু এবারের বাজেটে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে জিডিপির ২.৫ ভাগ। অবশ্য আইসিটি বিভাগ ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কারিগরি প্রশিক্ষণ কার্যক্রমকে শিক্ষার আওতায় ধরলে এই খাতে মোট বরাদ্দ জিডিপির প্রায় ৩ ভাগ রয়েছে।
বাম ছাত্র সংগঠনগুলো বরাবরই দাবি করে আসছে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বারাতে। বাজেট অধিবেশনে আগেও বাম ছাত্র জোট দেশের একাধিক স্থানে শিক্ষা খাতে বাজেট বরাদ্দ বেশি রাখার দাবি নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। শিক্ষা খাতে বাজেট বাড়ানোর দাবি জানিয়ে এসেছেন শিক্ষামন্ত্রী নিজেও।
২০২০-২১ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে এ খাতে বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ৬৬ হাজার ২০৭ কোটি টাকা। ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৭১ হাজার ৯৫৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ বরাদ্দ বাড়ানো হয় ৫ হাজার ৭৪৬ কোটি টাকা। শতাংশের হিসাবে শিক্ষায় বরাদ্দ ২০২০-২১ অর্থ বছরের তুলনায় বেড়েছিলো ৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ।
প্রস্তাবিত বাজেটে শিক্ষার জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৮১ হাজার ৪৪৯ কোটি টাকা। যা গত বছরের তুলনায় ৯ হাজার ৪২৫ কোটি টাকা বেশি। অর্থাৎ শতাংশের হিসাবে শিক্ষায় বরাদ্দ গত বছরের তুলনায় বেড়েছে ১৩.১ শতাংশ।
প্রস্তাবিত বাজেটে শিক্ষা খাতের মোট বরাদ্দের ৩৯ হাজার ৯৬১ কোটি টাকা দেয়া হয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক খাতে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষায় বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৩১ হাজার ৭৬১ কোটি টাকা। অন্যদিকে মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা খাতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৯ হাজার ৭২৭ কোটি টাকা।
বাংলাদেশের বর্তমান মোট জিডিপি (অনুমিত) ৩২ লাখ ৫৩ হাজার ১৭৫ কোটি টাকা। সেই হিসেবে জিডিপির ৬ ভাগ শিক্ষা খাতে বরাদ্দ দিলে দাঁড়ায় ১ লাখ ৯৫ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। কিন্তু বরাদ্দ মিলেছে ৮১ হাজার ৪৪৯ কোটি টাকা। যা মোট জিডিপির ২.৫ ভাগ এবং শিক্ষামন্ত্রীর চাহিদার মাত্র ৪১.৭ শতাংশ এটি পূরণ করে।
শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, শিক্ষায় বিনিয়োগ মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপির) ছয় ভাগে যেতে হবে। আমরা তিন ভাগে আছি। তবে ২০০৬ সালে দেশের যে বাজেট ছিল এখন শিক্ষা বাজেটই তার চেয়ে অনেক বেশি। শিক্ষায় আমরা অনেক বিনিয়োগ করছি। আরও অনেক বিনিয়োগ করতে হবে।