ভয়েস এশিয়ান, ২২ মে, ২০২২।। টানা ৯ দিন ধরে পানিবন্দি সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার প্রায় ৭ লাখ মানুষ। কয়েকটি পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি কিছুটা কমলেও, এখনও বিপৎসীমার ওপর দিয়েই প্রবাহিত হচ্ছে সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি। ভেঙে গেছে প্রায় ৩৫ টি বাঁধ। বন্ধ রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। নতুন করে প্লাবিত হয়েছে সুনামগঞ্জের কিছু এলাকা। বন্যা কবলিত এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার সংকট।
১৪ মে থেকে অব্যাহত ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সিলেটে শুরু হয় বন্যা। যাতে বিপর্যস্ত সিলেটবাসীর জনজীবন।
এখনো পানিতে ডুবে আছে মহানগরীর ৭ টি ওয়ার্ড। শুক্রবার থেকে জকিগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার উপজেলার শতাধিক গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। ভেঙে গেছে ৩৫টি বাঁধ। পাঠদান বন্ধ রয়েছে জেলার ৬ শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। এছাড়া, ত্রাণ পাচ্ছে না অনেক এলাকার বন্যার্ত মানুষ।
সুনামগঞ্জেও প্রতিদিন প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন সদর, শান্তিগঞ্জ ও জগন্নাথপুর উপজেলার অন্তত শতাধিক গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ। এছাড়া, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি ওঠায় জগন্নাথপুর উপজেলার ৬০ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ করে দেয়া হয়। এদিকে তীব্র খাবার সংকটে পড়েছে বানভাসীরা।
তবে বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে কিছুটা সময় লাগবে বলছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। সুনামগঞ্জের ছাতক, দোয়ারাবাজার, তাহিরপুর ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে।