ভয়েস এশিয়ান, ২২ জুলাই, ২০২১।। আগের কয়েক দিনের তুলনায় সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টার হিসেবে করোনায় প্রাণহানির সংখ্যা কমেছে। কিন্তু লক্ষণীয়ভাবে বেড়েছে শনাক্তের হার।
আগের দিনের তুলনায় ১ শতাংশের কাছাকাছি শনাক্তের হার বেড়েছে।
এখানে লক্ষণীয় আরেকটি বিষয় হলো, একই সময়ের পরীক্ষা হয়েছেও কম। অর্থাৎ, কম পরীক্ষায় কম শনাক্ত এ অনুমান পুরোপুরি এখানে খাটছে না।
বুধবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে নতুন করে ৭ হাজার ৬১৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত হলো ১১ লাখ ৩৬ হাজার ৫০৩ জন।
২৪ ঘণ্টায় মোট ২৪ হাজার ৯৭৯টি নমুনা পরীক্ষা করে আক্রান্তের এই সংখ্যা পাওয়া যায়।
এ নিয়ে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার বেড়ে দাঁড়ালো ৩০.৪৮ শতাংশে। গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবারও এই হার ছিল ২৯.৩১ শতাংশ।
এ সময় মৃত্যুর সংখ্যা কিছুটা কমেছে। এদিনে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে ১৭৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
দেখা যাচ্ছে ঈদের ছুটি থাকায় গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৫ হাজারেরও সামান্য কম, সে হিসেবে শনাক্তও কম। কিন্তু সেখানে দেখা যাচ্ছে আগের দিনের চেয়ে শনাক্তের হার প্রায় ১ শতাংশ বেড়েছে। অর্থাৎ, শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমলেও সংক্রমণের মাত্রা আসলে কমেনি।
এ দিকে সর্বশেষ কয়েক দিন সারাদেশের সড়কে জনসমাগম বেড়েছে। বিশেষ করে রাজধানী থেকে জেলা শহরমুখী জনস্রোত কয়েক দিন রয়েছে আলোচনায়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মানা হয়নি স্বাস্থ্যবিধি।
এটাও মনে রাখতে হবে, সাম্প্রতিক করোনা ঢেউয়ে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ মারা যাচ্ছে জেলা শহরগুলোকে। বিশেষ করে সীমান্ত এলাকায় একাধিকবার মৃত্যুর নতুন রেকর্ড হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ঘটেছে ঢাকা বিভাগে। এদিন ৫৮ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার তথ্য দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর পরেই রয়েছে খুলনা বিভাগ। সেখানে ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগেও ৩২ জন মারা যাওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।
অবশ্য সর্বশেষ বিধিনিষেধ ওঠে যাওয়ার পর থেকে জীবন যাত্রায় এ শিথিলতা এসেছে। যার বিস্ফোরণ ঘটেছে ঈদের ছুটিতে। এর মাঝেই এলো কম শনাক্তে সংক্রমণের হার বাড়ার তথ্য।