ভয়েস এশিয়ান, ০৬ জুলাই, ২০২১।। করোনা টিকা নামে দেওয়া হচ্ছে লবণপানি। ভারতের বাণিজ্যিক নগরী মুম্বাইয়ে এমন ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত চিকিৎসক, স্বাস্থ্য কর্মী এবং জড়িত বেশ কয়েকজনকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এমনটি জানিয়েছে মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন।
মুম্বাই পুলিশ বিভাগের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বিশাল ঠাকুর বলেন, কমপক্ষে ১২টি ভুয়া ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা ভ্যাকসিনের পরিবর্তে লবণপানি প্রয়োগ করছিল।
মুম্বাই পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও জানান, প্রায় আড়াই হাজার মানুষ এই ভুয়া টিকা নিয়েছেন। এই ভুয়া টিকা প্রয়োগ কর্মসূচিতে সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলো একটি ডোজের জন্য ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করেছে। ভুয়া টিকা দিয়ে এ পর্যন্ত তারা ২৮ হাজার মার্কিন ডলার আয় করেছে,
মুম্বাইয়ের পুলিশ কর্মকর্তা বিশাল ঠাকুর বলেন, আমরা ভুয়া চিকিৎসকদের গ্রেপ্তার করেছি। তাঁরা ভুয়া সার্টিফিকেট, ভায়াল এবং সিরিঞ্জ ব্যবহার করছিল।
মুম্বাই পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকায় এ পর্যন্ত ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। সামনের দিনগুলোতে টিকা কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে আরও গ্রেপ্তার করা হবে।
গত এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত ছিল ভারত। গত জুনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করেন যে কেন্দ্রীয় সরকার থেকে বিনা মূল্যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ভ্যাকসিন রাজ্যগুলোকে বিনা মূল্যে দেওয়া হবে।
সিএনএন-নিউজ ১৮ এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এপ্রিল থেকে জুনের প্রথম দিকে করোনা টিকার নামে এই লবণপানি প্রয়োগ করা হয়েছে।
ভুয়া টিকা প্রয়োগ কার্যক্রম হয়েছে এমন এক হাউজিং সোসাইটির বাসিন্দা জানান, টিকা নেওয়ার পর কারওর মধ্যেই উপসর্গ দেখা যায়নি। তখনই আমাদের সন্দেহ হয়। ওই টিকার জন্য আমরা টাকাও দিয়েছিলাম।
এই ঘটনার পুলিশের তদন্তের পাশাপাশি ব্যক্তিগতভাবেও অনেকে মামলা করেছেন। গত ২৪ জুন সিদ্ধার্থ চন্দ্রশেখর নামের ভারতের একজন আইনজীবী জনস্বার্থে ভুয়া ভ্যাকসিন কার্যক্রমের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় নিশ্চিত করে বলা হয়েছে যে দুই হাজারের বেশি মানুষ ভুয়া ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন। এই মামলার শুনানিতে মুম্বাইয়ের আদালত এই ঘটনায় হতবাক হন এবং রাজ্যকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।