ভয়েস এশিয়ান, ১৩ জানুয়ারি, ২০২১।। উপাচার্য, উপ-উপাচার্য এবং কোষাধ্যক্ষ ছাড়াই ৭১টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় চলছে কার্যক্রম। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাজে তৈরি হচ্ছে নানা জটিলতা। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বলছে- ৩১ জানুয়ারির মধ্যে এসব পদের জন্য প্যানেল প্রস্তাব না করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে ১০৭টি। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী- উপাচার্য, উপ-উপাচার্য এবং কোষাধ্যক্ষ-এই তিন পদে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় যেকোনো প্রস্তাব পাঠায় মন্ত্রণালয়ে। এরপর মন্ত্রণালয় থেকে সেই প্রস্তাবনা রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে পাঠানো হয়। পরে সেই প্রস্তাবনার ওপর ভিত্তি করে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
অথচ দেশের ১৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নেই। উপ-উপাচার্য নেই ৩৩টিতে, কোষাধ্যক্ষের পদ শূন্য ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে। দীর্ঘদিন এসব পদ খালি রেখেই চলছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের তাগিদের পর দেয়া হচ্ছে না নিয়োগ।
কমিশন বলছে, ৩১ জানুয়ারির মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিয়োগের উদ্যোগ না নিলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ সংক্রান্ত চিঠিও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে দেয়া হয়েছে।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির সহ-সভাপতি অধ্যাপক আবদুল মান্নান চৌধুরী বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য এবং কোষাধ্যক্ষ পদে যোগ্য শিক্ষক না পাওয়ায় প্যানেল দিতে পারছে না।
এদিকে অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ প্রক্রিয়াও ত্রুটিপূর্ণ বলছে মঞ্জুরি কমিশন।