ভয়েস এশিয়ান, ১৯ নভেম্বর, ২০২৩।। চলতি সপ্তাহে এশিয়ার অধিকাংশ দেশে চালের দাম বেড়েছে। এই অঞ্চলের শীর্ষ রপ্তানিকারক ভারতের আধা সেদ্ধ চালের রপ্তানি মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। মূলত চাহিদা বাড়ায় এই ঊর্ধ্বমুখিতা তৈরি হয়েছে। অন্যান্য এশীয় দেশেও খাদ্যপণ্যটির দর ঊর্ধ্বগামী হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে বিজনেস রেকর্ডারের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে। এতে বলা হয়, নতুন মৌসুমের চাল আসা শুরু করেছে ভারতীয় মার্কেটে। দিন দিন সেই পরিমাণ বাড়ছে। স্বাভাবিকভাবেই ভোগ্যপণ্যটির দরপতন ঘটার কথা ছিল। কিন্তু ঘটেছে ঠিক উল্টো।
এই সপ্তাহে ভারতের ৫ শতাংশ ভাঙা চালের প্রতি মেট্রিক টনের দাম স্থির হয়েছে ৪৯৩ থেকে ৫০৩ ডলারে। আগের সপ্তাহে যা ছিল ৪৯০ থেকে ৫০০ ডলার।
ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য অন্ধ্রপ্রদেশের কাকিনাদা ভিত্তিক এক রপ্তানিকারক বলেন, ভারতীয় চাল রপ্তানিতে ২০ শতাংশ শুল্ক দিতে হচ্ছে। তবু অন্যান্য দেশের চেয়ে ভারতের চালের চালের সরবরাহ মূল্য কম রয়েছে। ফলে এদেশ থেকেই ভোগ্যপণ্যটি কিনছেন ক্রেতারা। কারণ, এর বিকল্প নেই।
ইতোমধ্যে চাল রপ্তানিতে ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে রেখেছে ভারত। ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে।
চলমান সপ্তাহে বাংলাদেশে চালের দাম বেড়েছে ৫ টাকা। প্রতি কেজি স্বর্ণা বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ৫৫ থেকে ৫৬ টাকায়। ২ সপ্তাহে আগে যা ছিল ৫০ টাকা। আর মাঝারি আকারের চাল বিকোচ্ছে কেজিপ্রতি ৫৬ থেকে ৫৮ টাকায়। কয়েকদিন আগেও যা ছিল ৫২ থেকে ৫৪ টাকা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাংলাদেশে ধানের উৎপাদন ভালো হয়েছে। মজুতও পর্যাপ্ত রয়েছে। তবু চালের দর বৃদ্ধি পেয়েছে। ইতোমধ্যে মূল্যস্ফীতির সঙ্গে লড়াই করছে দেশের সাধারণ মানুষ। খাদ্যপণ্যটির বাড়তি দাম তা আরও কঠিন করে তুলেছে।
এক ব্যবসায়ী বলেন, চালের বাজার হঠাৎ অস্থির হয়ে উঠেছে। কেজিতে ২ থেকে ৫ টাকা দাম বেড়েছে।
একই সময়ে থাইল্যান্ডের ৫ শতাংশ ভাঙা চালের দর বৃদ্ধি পেয়েছে। মেট্রিক টনপ্রতি দাম স্থির হয়েছে ৫৭০ থেকে ৫৭৫ ডলারে। গত সপ্তাহে যা ছিল ৫৬২ ডলার।