নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এই সরকার যারা বিনা নির্বাচনে জোর করে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে, যারা রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করছে অন্যায়ভাবে। তাদের জনগণের শক্তি দিয়ে সরে যেতে বাধ্য করতে হবে। আজকে তাই সমস্ত দেশ উত্তাল হয়ে উঠেছে। আমরা আগস্ট মাস থেকে আন্দোলন শুরু করেছি। ১৭ জন নিরীহ ভাই প্রাণ দিয়েছে, অসংখ্যা মানুষ আহত হয়েছেন, অসংখ্য নেতাকর্মী কারাগারে গেছেন, এখনো কারাগারে আছেন তাদের যে ঋণ সেই ঋণ শোধ করতে, জনগণের দাবি আদায় করতে, স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বেঁচে থাকতে হলে এই সরকারকে অবশ্যই সরাতে হবে। সে জন্য আমাদের সবাইকে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আমিনুল হক ও দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর সঞ্চালনায় সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, কেন্দ্রীয় নেতা আহমেদ আযম খান, আবদুস সালাম, জয়নুল আবদিন ফারুক, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ফজলুল হক মিলন, নাজিম উদ্দিন আলম, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, নাসির উদ্দিন অসীম, কামরুজ্জামান রতন, রকিবুল ইসলাম বকুল, এ বি এম মোশাররফ হোসেন, আমিরুল ইসলাম খান আলিম, রওনাকুল ইসলাম টিপু, আমিরুজ্জামান খান শিমুল, সাঈদ সোহরাব, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, সুলতানা আহমেদ, যুবদলের সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, শফিকুল ইসলাম মিল্টন, স্বেচ্ছাসেবক দলের এস এম জিলানি, রাজীব আহসান, মহানগর বিএনপির ইশরাক হোসেন, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন, শহীদুল ইসলাম বাবুল, মৎস্যজীবী দলের রফিকুল ইসলাম মাহতাব, জাসাসের হেলাল খান, ড্যাবের অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ, ছাত্রদলের কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাইফ মাহমুদ জুয়েল এবং সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের কাদের গণি চৌধুরী ও অধ্যাপক লুতফর রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন। সমাবেশে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলামসহ কেন্দ্রীয় ও অঙ্গসংগঠনের হাজারো নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশকে ঘিরে ফকিরাপুল মোড় থেকে কাকরাইল পর্যন্ত নয়া পল্টন সড়কজুড়ে হাজার হাজার নেতাকর্মী প্রখর রোদ উপেক্ষা করে সমাবেশে অংশ নেন। যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে রাজধানীতে বিএনপি ছাড়াও বিভিন্ন দল ও জোট আলাদা আলাদা সমাবেশ করেছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর জানায়, ঢাকা ছাড়াও সব মহানগরে বিএনপির উদ্যোগে প্রতিবাদ সমাবেশ হয়।