ভয়েস এশিয়ান, ১৬ জানুয়ারী, ২০২৩।। প্রকৃতিতে এখন উত্তরের হিমেল বাতাস বইছে। চারদিকে ছুঁয়েছে শীতের আমেজ। এরই হাত ধরেই চলে এল নলেন গুড়ের মৌসুম। আর এই সময়টা এলেই বাঙালির পিঠাপুলি খাওয়ার ধুম পড়ে যায়। সেই সাথে থাকে খেজুরের রস খাওয়া এবং গুড় দিয়ে পিঠা। শীতে প্রকৃতির আশীর্বাদ খেজুর রস।

তবে ঠান্ডাটা জাঁকিয়ে না পড়া পর্যন্ত ভাল খেজুরের রস মিলবে না। আপাতত রসের জোগান না থাকায় গুড়ের চাহিদা সত্ত্বেও সরবরাহ করতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়েছে ভেজাল গুড়ের কারবার।
বাজার ছেয়ে গিয়েছে হাইড্রোজ, ফটকিরি, ক্যালশিয়াম-বাই-কার্বনেট, নলেন গুড়ের সুবাসিত গন্ধ-সমৃদ্ধ প্রোপিলিং গ্লাইকল নামে কৃত্রিম রাসায়নিক মেশানো ভেজাল গুড়ে।
এই ভেজালের ভিড়ে খাঁটি গুড় কিনতে গিয়ে অনেকেই তাই ঠকছি। সেজন্য আসল নলেন গুড় কেনার সময় কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখুন-
১. গুড় ভেঙে নিয়ে জিভে চেখে দেখবেন: বাজার থেকে খেজুর গুড় কেনার সময় দোকান থেকে অল্প একটু গুড় নিয়ে জিভে ফেলুন। নোনতা স্বাদ পেলে ওই দোকান থেকে গুড় না কেনাই ভাল। এছাড়া নোনতা লাগলে বুঝতে হবে গুড়ে ফটকিরি মেশানো আছে।
২. আঙুলের আলতো চাপে ভেঙে যাবে খাঁটি গুড়ের ডেলা: আসল নলেন গুড়ের পাটালি আঙুলের হালকা চাপে ভেঙে যায়। ভেঙে গেলে বুঝবেন খাঁটি পেয়েছেন। পাথরের মতো শক্ত হলে? ঠকেছেন।
৩. রং দেখে গুড় চিনুন: গুড়ের দানা স্ফটিকের মতো স্বচ্ছ হলে বুঝবেন ওতে নিশ্চিত ভাবে চিনি মেশানো আছে। সাধারণত গুড়ের রং হয় গাঢ় বাদামি। তাই গাঢ় লাল কিংবা খয়েরি রঙের গুড় দেখলেই বুঝতে হবে তাতে মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক মেশানো আছে। যা শরীরের পক্ষেও ক্ষতিকারক।
৪. গন্ধে আমোদিত হয়ে গুড় কিনে ফেলবেন না: শুধু মাত্র সুবাসিত গন্ধে মেতে গিয়ে চোখ বন্ধ করে নলেন গুড় কিনে নেন? ভাবেন খাঁটি জিনিস পেয়েছেন? তা হলে নিতান্তই বোকামি করছেন। কারণ, গুড়ে সুবাসের জন্য আজকাল রাসায়নিক ব্যবহার হয়।
গুড়ের রয়েছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা। চিনি শরীরের জন্য খারাপ বলে মিষ্টি খাবার খাওয়াই বাদ দিয়েছেন অনেকে। সেক্ষেত্রে গুড় হতে পারে একদম আদর্শ বিকল্প।