ভয়েস এশিয়ান, ০৭ এপ্রিল, ২০২১।। লকডাউনে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান খোলা রাখার অনুমতি রয়েছে। কিন্তু সরকার নির্ধারিত সময়সীমা মানছে না কেউ। রাত ৮টার পরও বন্ধ হচ্ছে না নগরীর দোকানপাট। অনেক দোকানি শাটার অর্ধেক খোলা রেখে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। মহল্লার মানুষদেরও মোড়ে মোড়ে আড্ডা দিতে দেখা গেছে। লকডাউনের প্রথম দু’দিন নগরীর বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেলো এমন চিত্র।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে ফকিরাপুল মোড়ে দেখা গেছে, বিকাল চারটা পার হয়ে গেলেও প্রায় সব দোকানই খোলা। ফুটপাতেও চলছে দেদার বেচাকেনা। স্বাস্থ্যবিধিও মানতে দেখা যায়নি অনেককে। অনেক দোকানি আবার এমনভাবে শাটার অর্ধেক খোলা রেখেছেন, যেন দোকান বন্ধ করার প্রস্তুতি চলছে।
একই চিত্র দেখা গেছে খিলগাঁও এলাকায়। মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে এলাকার সিংহভাগ দোকানপাট খোলা দেখা গেছে। খোদ সিটি করপোরেশনের অঞ্চলিক অফিস (অঞ্চল-২)-এর পাশে প্রভাতীবাগ সড়কের মাথায় এলাকার যুবকদের আড্ডা দিতে দেখা গেছে। রাস্তাজুড়ে ঘোরাফিরা করতে দেখা গেছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।

এসময় ক্যাফে গোগা নামে একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্টও খোলা থাকতে দেখা গেছে। কথা হয় দোকানের এক কর্মকর্তার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘নতুন দোকান। এমনিতেই ব্যবসা নেই। একটু খোলা রাখলে দুয়েকজনন কাস্টমার আসে। পুলিশ এলে বন্ধ করে দেবো।’
শুধু এ দুটি এলাকায় নয়, খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আজিমপুর, মিরপুর, শ্যাওড়াপাড়া, ধানমন্ডি, গুলশান, বনানী, বারিধারা, উত্তরা, বাড্ডা, মহাখালী, মগবাজার, মৌচাকসহ পুরো রাজধানীরই অবস্থা একই। কোথাও সময়সীমা মানা হচ্ছে না। সন্ধ্যার পর পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে কর্তৃপক্ষকেও মাঠে দেখা যায়নি। দিনের বেলায় পুলিশ ও দুই সিটি করপোরেশনসহ কয়েকটি সংস্থার কিছু তদারকি দেখা গেলেও রাতে কাউকে দেখা যায় না।
মৌচাকের কাপড় ব্যবসায়ী ইব্রাহীম বলেন, ‘করোনা তো সময় বোঝে না। ভাইরাসটা ধরলে বিকাল ৪টা বাজেও ধরতে পারে, আবার ৯টা বাজেও পারে। এখানে মূল বিষয় হচ্ছে সতর্কতা। আমরা ঠিক থাকলে কেউ আক্রান্ত হবো না।’
জানতে চাইলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা বলেন, আমরা বিকাল চারটার পর দোকান বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিয়েছি। এজন্য আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা, স্থানীয় কাউন্সিলর ও বাজার শাখাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে লকডাউনে দোকানপাট বন্ধ রাখার প্রতিবাদে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন দোকান মালিকরা। তারা বলছেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে তারা দোকানপাট খোলা রাখতে চান।